সৃষ্টির শুরু থেকেই নারীরা ঘরে-বাইরে সব জায়গায় নির্যাতিত হয়ে আসছেন। আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসেও কোন অংশে থেমে নেই নারী নির্যাতনের প্রভাব। নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাননি বিশ্বের খ্যাতিমান নায়িকারাও।আজ আমরা পাঁচজন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রীর জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু পারিবারিক সহিংসতার অমানবিক গল্প শুনবো।
মান্দানা করিমি ও গৌরব গুপ্ত
‘বিগ বস ৯’ এর প্রতিযোগী এবং ‘ক্যায়া কুল হ্যায় হাম’ সিনেমার একজন সফল অভিনেত্রী ছিলেন মান্দানা করিমি। গত ২৫শে জানুয়ারি পেশায় ব্যবসায়ী গৌরব গুপ্ততের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবধ্য তিনি। কিন্তু পারিবারিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে তিনি অভিনয় ছাড়তে বাধ্য হন। তার এই অল্পদিনের গল্প এখানেই থেমে থাকেনি, পরবর্তীতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অমানবিক মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে তিনি আন্ধেরি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন।
সালমান খান ও ঐশ্বরিয়া রাই
‘হাম দিল দে চুকে সনম’র সিনেমা থেকেই এই দুই খ্যাতিমান তারকার প্রেমের সূত্রপাত হয়। পরে তাদের ব্যক্তিগত মারামারির কথা গণমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে। এক রাতে সালমান খান ঐশ্বরিয়ার বাড়িতে এসে তাদের এপার্টমেন্টেরএ জানালা ভেঙে দেয়। এরপর ঐশ্বরিয়ার পিছু নিয়ে, এক সিনেমার সেটে গিয়ে প্রচণ্ড ভাবে ঐশ্বরিয়াকে শারীরিক নির্যাতন করে সালমান।
সঞ্জয় খান ও জিনাত আমান
জিনাত আমানের প্রতি সঞ্জয় খানের নির্যাতনের কথা বলিউডে অনেক বেশি আলোচিত ছিল। ১৯৮০ সালে ‘আব্দুল্লাহ’ নামক এক সিনেমায় দুজনের পরিচয় হয় এরপর থেকেই শুরু হয় নির্যাতনের কাহিনী। তাদের ভয়াবহ মারামারি থেমে থাকেনি জনসম্মুখে এসেও ।একবার এক ৫ তারকা হোটেলে নিষ্ঠুরভাবে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী জিনাত আমান, এর পর থেকেই তাদের সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটে।
কঙ্গনা রানাউত ও আদিত্য পাঞ্চোলি
কঙ্গনা রানাউতের চেয়ে আদিত্য পাঞ্চোলি বয়সে অনেক বড়। তাই তাদের দেখতে অনেকটা বাবা-মেয়ের বয়সী মনে হত। এই দুজনের সম্পর্কে জড়ানোর গুঞ্জন শোনা যায় ২০০৭ সাল থেকে। কিন্তু আদিত্য পাঞ্চোলি অনবরত কঙ্গনার গায়ে হাত তোলা সহ নিদারুণভাবে নির্যাতন করতেন বলে জানা যায়।
রতি অগ্নিহোত্রী ও অনিল ভিরওয়ানি
১৯৮৫ সালে দুজনের বিয়ে হয়। তাদের সাংসারিক জীবনের বয়স প্রায় ৩০শের কোঠায় পৌঁছে গেছে। এরই মধ্যে ২০০৫ সালে রতি অগ্নিহোত্রী দ্বিতীয় বারের মতো স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগে তিনি জানান, স্বামী অনিল ভিরওয়ানি তাকে নির্যাতন করেন। কিন্তু অনুসন্ধান করে এই নির্যাতনের সঠিক কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে এতো টুকু জানা যায় যে, ২০০৫ সাল থেকে অনিল ভিরওয়ানি আর্থিক ভাবে অনেকটা অসচ্ছল হয়ে পরেন।