খুঁজলেনা আমাকে
আমি আনমনে বাতাসে
আমার আঁচল উড়ালাম
মুখ লুকোলাম চাঁদের আড়ালে ,
চোখ দুটো ভাসিয়ে দিলাম
ভেসে যাওয়া মেঘের সাথে…
তাই দেখে তুমি
কিছু না বুঝে
ছল ছল আঁখির জলে
অভিমানে ডুবে গেলে,
ভরিয়ে দিলে তোমার
হৃদয়ের চারপাশ বিরহের
তুমুল স্রোতে …
ধ্রুপদি দুঃখের টিকা
এঁকে নিলে ললাটে
অনাহুত কষ্টের চন্দনে
এলোমেলো সাজালে নিজেকে।
দূর আকাশের অজানা নত্রের
ভিড়ে হারিয়ে গেলে তুমি ।
একবারও খুঁজলে না আমাকে …
যখন আমি থাকব না
আমাকে যতটুকু পুড়িয়েছো
জ্বলে জ্বলে তুমি ও ঠিক ততটুকুই পুড়বে তুষের মত ধিকি ধিকি করে
অনন্ত বেদনার জলে।
হয়ত এসব আমি জানব না
তোমার অন্ধকার পৃথিবী জানবে,
জানবে তোমার উদাস দুপুর,
জানবে রাতের তারা।
একলা থাকার অগাধ দুঃখ
জানবে চোখের ধারা।
অন্য আকাশ
নিবিড় বেদনাকে জড়িয়ে
ধরে এখন আর ঘুমের
ভিতর জেগে উঠি না
তোমাকে হারিয়েছি বলে।
এখন আর যখন তখন
চোখের জলের দিঘি
করে নীল পদ্ম ভাসাই না,
অথবা দীর্ঘশ্বাসের রকমারি
দহনের মালা গাঁথি না
তুমি আমার নেই বলে ।
মঙ্গলের আলো তোমায়
সবসময় ঘিরে থাকুক
এই মনে করে,ভুল করেও
দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালাই না
তুমি সুখি হবে বলে ।।
আগের মত কিছুই আর
পুষে রাখিনা খাঁচার ভিতর
পোষা পাখিটার মত পরম
যত্নে করে বোকার হদ্দ হয়ে।।
এখন অবলীলায় আমিও
সব ভুলে যেতে পারি
এক আকাশ ছেড়ে
অন্য আকাশে উড়তে
পারি অনায়াসে…
ঠিক তোমার মত করে ।
টান
কিছু কিছু টান নিভৃতে থেকে যায় গোপন অন্ধকারে।
আলোর ভিতর জাগেনা কখনো
নিরব অহংকারে।
ধুসর সময় চলে যায়
য়িষ্ণু পাণ্ডুলিপির আড়ালে।
অতল থেকে কেন আজ
আমায় এমন করে জাগালে?
মাঝরাতে ঘুম ভেংগে দেখি
বুকের ভিতর জমে আছে
সুরহীন কিছু জলের গান।
সে কি ছিল আমার হারিয়ে যাওয়া
নাকি ফেলে আসা পিছু টান?