রোদ চশমা বা সানগ্লাস যে শুধু আপনার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেবে তা কিন্তু নয়, রাস্তাঘাটের ধুলোবালি ছাড়াও সূর্যের ক্ষতিকর বেগুনি রশ্মির হাতথেকেও চোখ সুরক্ষিত রাখে সানগ্লাস। বিশেষ করে মোটরসাইকেলারোহী এবং যারা অধিক সময় বাইরে চলাফেরা করেন, তাঁদের জন্য এই গ্রীষ্মে সানগ্লাস তো একেবারে অপরিহার্য অনুষঙ্গ।
বাজারে ছেলেমেয়ে ও শিশুদের জন্য পাওয়া যাচ্ছে ডিজাইন করা বাহারি সব সানগ্লাস। তবে বাজারে মার্কারি গ্লাসের সানগ্লাসই বেশি। পাশাপাশি মেটাল ফ্রেম ও টাইটানিয়াম সানগ্লাসও পাবেন। এ প্রসঙ্গে সেঞ্চুরি আর্কেডের আই ফ্যাশন কেয়ারের স্বত্বাধিকারী ইব্রাহিম খালেদ জানালেন, মেটাল ফ্রেমের সানগ্লাসগুলো বেশ টেকসই, ওজনে হালকা হওয়ায় ব্যবহারও করা যায় স্বাচ্ছন্দ্যে।
এলিফ্যান্ট রোডে দৃষ্টি আইকেয়ারের ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন জানালেন, ‘এই সময়ের ট্রেন্ড হলো একটু বড় ফ্রেমের চার কোনা বা ডিম্বাকার সানগ্লাস।ফ্রেমের ছেলেদের পছন্দের তালিকায় আছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোলারাইজড মার্কারি সানগ্লাস। ইসলামপুরের চশমা বিতানের ম্যানেজার সফিকুল ইসলাম বলেন, রেবন, পুলিশ, ওকলে, কার্ডিয়া, মার্সিডিস, সাফারি, ডানহিল, শ্যানেল, সিডি, লিভাইস, ফিলা, ফেনডি, ডিওর ও থমবর্নি, পড়শি, ডিজেল ও গুচি ব্র্যান্ড থেকে বেছে নিতে পারেন যেকোনোটি। রঙের বাহার একটা সময় শুধু কালো আর বাদামি রঙের সানগ্লাসই বেশি চোখে পড়ত। সময়ের সঙ্গে এখন সানগ্লাসের ধরন, রং সব বদলেছে। এখন কেবল কালো কিংবা বাদামি রঙের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বাজারে পার্পেল, সাদা, ওয়াটার, কমলাসহ বিভিন্ন রং ও শেপের সানগ্লাস পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন রঙের বর্ডারযুক্ত সানগ্লাসের চাহিদাও বাড়ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্রী শারমিন নাহার বললেন, ‘বর্ডারযুক্ত সানগ্লাসগুলো ওয়েস্টান পোশাকের সঙ্গে মানায়। তাই টপসের সঙ্গে এগুলোই পরি।’ গায়ের রঙের সঙ্গে মিল রেখে গ্লাসের রং বাছাই করতে পারেন। উজ্জ্বল গায়ের রঙের সঙ্গে স্বচ্ছ, সবুজ ফ্রেম ভালো মানাবে। বাদামি দিব্যি চলে যাবে। ফর্সা চেহারা যাঁদের, তাঁরা উজ্জ্বল বাদামি অথবা গোলাপি শেডের সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন। আর যাঁদের গায়ের রং একটু কালো, তাঁদের মুখের সঙ্গে মেটালিক ফ্রেম, হালকা বাদামি রঙের সানগ্লাস পরতে পারেন।