বাংলাদেশি বিশ্ব পর্যটক কাজী আসমা এখন আজারবাইজানে
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাভেলার্সদের মধ্য অন্যতম এক নাম কাজী আসমা আজমেরী। আসমা একজন রোটারিয়ান, পাশাপাশি ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। ইতোমধ্যে ৯৫টি দেশ ভ্রমণ করে ৯৬তম দেশ আজারবাইজানে অবস্থান করছেন। এর আগে যে দেশগুলো ভ্রমণ করেছেন :

কাজী আসমা আজমেরী
২০০৯ ভারত, নেপাল, ভুটান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং। ২০১০ কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, ব্রুনেই, চীন, ম্যাকাউ, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, তুরস্ক, মিশর, মরক্কো, সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১১ স্কটল্যান্ড, ওয়েলস, স্পেন, জার্মানি, পর্তুগাল, চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, মিয়ানমার, দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, জাপান।

কাজী আসমা আজমেরী
২০১২ অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, নিউজিল্যান্ড, কুক দ্বীপ, টঙ্গা। ২০১৩ নিউ ক্যালেডোনিয়া, তাহিতি, সলোমন দ্বীপ, নিউ, কিরিবাটি তাইওয়ান, ভানুয়াতু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট। ২০১৪ মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, এল সালভাডর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, কোস্টা রিকা, পানামা, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া, পেরু, ইকুয়েডর। ২০১৫ পোর্ট রিকা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, হাইতি, বেলিজ, জ্যামাইকা, বাহামা, আরুবা। ২০১৬ ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, মন্টিনিগ্রো, কোসোভো, আবলানিয়া, ম্যাসেডোনিয়া, বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, মোল্দাভিয়া, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, সুইডেন, ডেনমার্ক, ইতালি, হাঙ্গেরি, সার্বিয়া, নরওয়ে, কুয়েত। ২০১৭ কিউবা, সামোয়া, কাতার। ২০১৮ ফিলিপাইন, মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, বেলারুশ, আজারবাইজান। এখন অবস্থান করছেন আজারবাইজানে। সেখান থেকে তিনি ১০০টি দেশ পূর্ণ করার উদ্দেশে যাবেন দাগেস্তান,কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তান। বাংলাদেশের পাসপোর্ট হওয়ার কারণে তার ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। তবু বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকার বাহন হিসেবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিশ্বময় আসমা।

কাজী আসমা আজমেরী
আসমা খুলনা শহরে বড় হয়েছিলেন। কাজী গোলাম কিবরিয়া ও কাজী সাহিদা আহমেদ দম্পতি আসমা বড় ইকবালনগর গার্লস হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করার পর এবং খুলনা মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর তিনি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে স্নাতক হন। উত্তর দক্ষিণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিষয়ে এমবিএ। আসমা এখন থাকেন অস্ট্রেলিয়ার পার্থে। সেখান থেকে সারা দুনিয়া ঘুরে লাটাই সুঁতার টানে ফিরে যান বাংলাদেশে। আবার পাখির মতো উড়াল পরবর্তী না দেখার দেশে।

কাজী আসমা আজমেরী
কাজী আসমা আজমারী বলেন, ‘আমি শৈল্পিকভাবে ইবন বেতুর, ঠাকুরমার ঝুলির সাহিত্য পড়ার পরে আমার শৈশবে কল্পনায় তার মনে মনে ভাবতাম। কিন্তু তারপর তাদের ছেড়ে দেওয়া যায় না। তাই আমি স্বাবলম্বী হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম।’

আমার চেয়ে জনপ্রিয়তার জন্য নয়, আসমা দেশ ভ্রমণ করে নিজের শখ থেকে। প্রথম দিকে শখের বশত ভ্রমণ শুরু করলেও এখন আসমা অনুভব করেন যে, সে তার ভ্রমণের মাধ্যমে নিজ দেশকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে পারছেন। সেটা তাকে বেশ আনন্দ দেয়।

কাজী আসমা আজমেরী
তার ইচ্ছে ২০১৮ সালের মধ্যে সে ১০০টি দেশ ভ্রমণ করা পূর্ণ করবে। আশা করি কাজী আসমা আজমেরী নিজের ইচ্ছা পূরণ করবেন খুব শিগগির। সেই সাথে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে চলবে তার বিশ্বভ্রমণ।

কাজী আসমা আজমেরী