যশোরের মেয়ে আইরিন সুলতানা। ঢাকাই ছবির এই প্রজন্মের অন্যতম পরিচিত নায়িকা তিনি। ২০০৮ ‘প্যান্টেনা ইউ গট দ্য লুক’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আসেন মিডিয়ায় । কাজ করেছেন র্যাম্প মডেল হিসেবে। কিন্তু র্যাম্প মডেলিং ক্যারিয়ার ছাপিয়ে এখন পুরোদস্তুর চিত্রনায়িকা তিনি। অভিনয় করছেন একের পর এক নতুন ছবিতে। এইমুহুর্তে ‘সেভ লাইফ’নামের নতুন একটি ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। যাতে কো আর্টিস্ট হিসেব রয়েছেন ফেরদৌস, আনিসুর রহমান মিলন ও সাদিকা পারভীন পপি।
এছাড়াও ‘আকাশ মহল’ ও পদ্মার প্রেম’ নামের দুটি ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি কথা হয় সমকাল অনলাইনের সঙ্গে। ক্যারিয়ার ও সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে অনেক কিছুই জানান এ নায়িকা। জানান, চলচ্চিত্রে এখন প্রযোজক সংকটের কথা। চলচ্চিত্র নির্মাণের মানসিকতার মানুষগুলো ধীরে ধীরে কমছে বলেও জানান তিনি।
আইরিন বলেন, ‘আমরা সবাই যদি যার যার অবস্থান থেকে চলচ্চিত্র উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি সম্মিলিতভাবে কাজ করি তাহলে আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাষ্ট্রি অনেক উন্নয়ন সম্ভব। আমাদের চলচ্চিত্রে এখন কোথায় যেন একটা শূন্যতা রয়েছে। সেই শূন্যতা খোঁজে বের করে সেটা পূরণ করলেই চলচ্চিত্র ইন্ডাষ্ট্রি নতুন প্রাণ পাবে।’
গুলিস্তানে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের অফিসে এখন আইরিন শুটিং করছেন ‘সেভ লাইভ’ ছবির। গত ১০ নভেম্বর ছবিটির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। অথচ শুরুতে ছবিটিতে যে আইরিন ছিলো তা জানতো কেউ। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে ছবিটিতে অভিনয় করছেন ফেরদৌস, আনিসুর রহমান মিলন ও পপি। এ লুকোচুরি কেন? প্রশ্ন করলে সমকাল অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘ছবিটির মহরতে আমি অংশ নিতে পারিনি। তখন পদ্মার প্রেম ছবির শুটিং করতে মানিকগঞ্জে ছিলাম। এই জন্য হয়তো অনেকে জানতেন না।’
ছবিটিতে আপনি ছাড়াও চলচ্চিত্রের তিন তারকা অভিনয় করছেন। আসলে মূখ্য চরিত্রে কে অভিনয় করছেন?
প্রশ্ন রাখলে তরুণ এ নায়িকা বলেন, ‘বলতে পারেন এ ছবিতে সবগুলো চরিত্রই মূখ্য। এতে আমি জয়া চরিত্রে অভিনয় করছি। এর আগে বিভিন্ন সিনেমায় বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। কিন্তু সেভ লাইফে জয়া চরিত্রটি অনেক চ্যালেঞ্জিং। আমি সত্যিই এই কাজটি অনেক আগ্রহ নিয়ে করছি। ছবিটির জন্য আমাকে ফায়ার সার্ভিসের অফিসে ট্রেনিং দিতে হয়েছে।’
এদিকে নিজের অভিনীত বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আইরিনের। তার মধ্যে রয়েছে বুলবুল জিলানীর ‘রৌদ্র্র ছায়া’, শফিকুল ইসলাম সোহেলের ‘ভোলা’, অরণ্য পলাশের ‘গন্তব্য’, সাইফ চন্দনের ‘টার্গেট’ ও অনন্য মামুনের ‘আহারে জীবন’। পাঁচটি চলচ্চিত্রের গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন আইরিন। আইরিন বলেন,‘ মুক্তি প্রতীক্ষিত পাঁচটি চলচ্চিত্রেরই কাজ পুরোপুরি শেষ। এখন অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি চলচ্চিত্রগুলো মুক্তির।’
এতোগুলো ছবিতে অভিনয় করছেন। অথচ আপনার কোন ছবি আলোর মুখ দেখছেনা। এতে কী খারাপ লাগে না?
এমন প্রশ্নের উত্তরে আইরিন বলেন, একজন শিল্পী হিসেবে শুধু দিনের পর দিন শুটিং-ই করে গেলাম, কিন্তু চলচ্চিত্রগুলো মুক্তি পেলোনা, সেটা নিজের ভেতর থেকে শান্তি পাইনা। আমার দর্শকতো আমার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো পর্দায় দেখতে চান। অনেকেই আমার কাছে জানতে চান শুটিং শেষ হওয়া ছবিগুলো মুক্তি পাচ্ছে না কেন। তাই চলচ্চিত্রগুলো যাদের তাদের কাছে বিশেষ অনুরোধ থাকবে শিগগিরই চলচ্চিত্রগুলো মুক্তি দেবার উদ্যোগ নেবার জন্য।